দৈনিক যুগান্তরের ‘ইসলাম ও জীবন’ পাতার সাবেক সম্পাদক, ছড়াকার ও লেখক হাফেজ আহমাদ উল্লাহ (৬৩) বুধবার রাত ১০টা ০৫ মিনিটে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়াহ ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
হাফেজ আহমাদ উল্লাহ ১ নভেম্বর ১৯৫৮ সালে নরসিংদীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালের আগে রাজধানী ঢাকার লালবাগ মাদরাসা থেকে হেফজ সম্পন্ন করেন। পরে তিনি ঢাকার সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন।
কর্মজীবনে হাফেজ আহমাদ উল্লাহ আধুনিক প্রগতিশীল দৈনিক পত্রিকায় ইসলাম পাতা পরিচালনা করেছেন। দৈনিক যুগান্তরেই ২২ বছর ধরে ‘ইসলাম ও জীবন’ পাতার বিভাগীয় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দিকনির্দেশনা ও নেতৃত্বে অনেক নবীন লেখক অসাধারণ সব ফিচার রচনা করেছেন।
দৈনিক পত্রিকায় ইসলাম বিষয়ক লেখা-লেখির চাহিদা তার মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠা পায়। ছড়াকার ও লেখক হিসেবেও তার সুনাম ও সুখ্যাতি ছিল। এছাড়া আধ্যাত্মিক ধ্যান-ধারণা ও গবেষণায় ছিল তার অসামান্য অবদান।
আশি-নব্বইয়ের দশকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। তিনি ১৯৯১-৯৫’র দিকে সংসদ ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি প্রামাণ্য গ্রন্থ সম্পাদনা করেছিলেন।
সাংবাদিক আহমাদ উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। শেষ দিকে তার দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে যায়। বেশকিছু দিন ধরে তিনি হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
এছাড়া হাফেজ আহমাদ উল্লাহ সুফি গবেষক, সাংবাদিক, কথাসাহিত্যক, ছড়াকার, লেখক। সংবাদপত্রে ইসলামি ফিচারের জনক। এর বাইরেও তিনি দীর্ঘদিন ‘ঢাকা আমার ঢাকা’, কৃষি’ ও ‘পরবাস’ পাতার দায়িত্ব পালন করেছেন। ছড়াকার হিসেবেও তার পরিচিতি ছিল।
তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- বকলম (১৯৮৩); ইনুনি বিনুনি (১৯৮৬); কাঁচাগাব পাকাগাব (১৯৯০); আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা (১৯৯২); পাঁচ কুড়ি ছড়া (১৯৯৭); চিরদিনের রূপবান (১৯৯০); হারিয়ে যেতে নেই মানা (১৯৮৮); রাজাকারের কেচ্ছা (১৯৯০)।
আল্লাহ তাআলা হাফেজ আহমাদ উল্লাহর কর্মময় জীবনের সব ভালো কাজগুলো কবুল করুন। তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন।